| Hanif Khan
ইবতেদায়ি মাদরাসা না থাকলে দাখিল আলিম ফাজিল কামিল মাদরাসা থাকবে না। মাদরাসা শিক্ষা না থাকলে ভবিষ্যতে জানাজা সালাত পড়ানোর আলেম পাওয়া যাবে না। বাংলাদেশে দ্বীন ইসলাম শিক্ষার ভিত্তিমূল টিকিয়ে রাখতে হলে অবিলম্বে সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের বেতন ভাতা চালুর মধ্যদিয়ে প্রতিষ্ঠানসমূহকে জাতীয়করণ করতে হবে।স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের আয়োজনে ২৫ শে মে (শনিবার) সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে এক গোল টেবিল আলোচনায় জাতীয় শিক্ষাবিদগণ এ সুপারিশ প্রদান করেন। বক্তাগণ আরও বলেন, ৪ হাজার ৩১২ টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ভাতা চালু করার আদেশপত্রে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী স্বাক্ষরিত হওয়ার পরেও তা বাস্তবায়ন না হওয়া মুসলিম উম্মাহর জন্য চরম উদ্বেগজনক এবং ধর্মীয় শিক্ষার ভিত্তিমূলে কুঠারাঘাতের শামিল।সংগঠনের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আহমেদ আলীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের সভাপতি ড. মাওলানা একেএম মাহবুবুর রহমান। প্রধান আলোচক ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মুফতী সৈয়দ অছিয়র রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, ইসলামি শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশর সহসভাতি ও দি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লার ডিন প্রফেসর ড. হানিফ খান। গোল টেবিল বৈঠক সঞ্চালনা করেন ইসলামি শিক্ষা উন্নয়নের মহাসচিব উপাধ্যক্ষ আবদুর রহমান।
ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষা উন্নয়ন বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ হতে আলোচনায় অংশ নেন, সহসভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দীন, মহাসচিব মো. রেজাউল হক, মাওলানা শহীদুল ইসলাম সাদ্দাম, মাওলানা ওমর ফারুক (রাঙ্গামাটি), মাওলানা রফিকুল ইসলাম (বান্দরবান), গাজীউল হক (চাঁদপুর), জহির উদ্দিন (নোয়াখালী) প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের নায্য অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে প্রত্যেক জেলায় শিক্ষক সমাবেশ করা হবে। এরপর জাতীয় সমাবেশ করা হবে।আলোচনায় প্রধান আলোচক মুফতী সৈয়দ অছিয়র রহমান বলেন, ইমান আমল ও নীতির উন্নয়ন না হলে রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন কল্যাণ বয়ে আনতে পারবে না। ইবতেদায়ি মাদরাসাকে অবহেলা করলে সকল উন্নয়ন মুখ থুবরে পড়বে।ড. শহীদুল হক বলেন, আমাদের আন্দোলন কারো বিরুদ্ধে নয়: আমাদের আন্দোলন প্রধানমন্ত্রী স্বাক্ষরিত ৪ হাজার ৩১২ টি স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকের বেতন-ভাতা চালুর মাধ্যমে সকল ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয় করণের পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।প্রফেসর ড. হানিফ খান বলেন, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ভাতা চালু করার আদেশপত্রে প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী স্বাক্ষরিত হওয়ার পরেও তা বাস্তবায়ন না হওয়া মুসলিম উম্মাহর জন্য চরম উদ্বেগজনক এবং ধর্মীয় শিক্ষার ভিত্তিমূলে কুঠারাঘাতের শামিল। ইসলামের প্রবেশদ্বার চট্টগ্রাম থেকে আজ আমরা স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার শিক্ষকদের সাংবিধানিক অধিকার বাস্তবায়নে আহŸান জানাচ্ছি। আল কুরআনের শিক্ষা বর্জিত শিক্ষা মূর্খতার শামিল। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ইসলামি শিক্ষা প্রদানের জন্য ইবদেতায়ি মাদরাসাকে জাতীয়করণ করতে হবে। ইবতেদায়ি মাদরাসা না থাকলে দাখিল আলিম ফাজিল কামিল মাদরাসা থাকবে না। মাদরাসা শিক্ষা না থাকলে ভবিষ্যতে জানাজা সালাত পড়ানোর আলেম পাওয়া যাবে না।গোল টেবিল বৈঠকে সংগঠনের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।১) মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বাক্ষরিত ৪ হাজার ৩১২ টি ইবতেদায়ি মাদরাাসাসহ তালিকাভুক্ত সকল মাদরাসা শিক্ষকদের বেতন ভাতা চালু ও অবিলম্বে সকল স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা জাতীয়করণ করতে হ্েব।২) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসা স্থাপন, স্বীকৃতি, পরিচালনা, জনবল কাঠামো এবং বেতন ভাতাদি সংক্রান্ত নীতিমালা ২০১৮ আশু বাস্তবায়ন করতে হবে।৩) জরুরী ভিত্তিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার অবকাঠামো সরকারিভাবে সংস্কার/ মেরামত/নির্মাণ করতে হবে।৪) ২০২৩ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় তত্ত¡াবধানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট পরিচালিত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাসার জন্য প্রদত্ত গবেষণা সুপারিশ দ্রæত বাস্তবায়ন করতে হবে।৫) স্বতন্ত্র ইবতেদায়ি মাদরাাসায় প্রাক প্রাথমিক স্তর চালু, শিক্ষার্থী উপবৃত্তি চালু ও স্বতন্ত্রভাবে শিক্ষক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে।এসময় আগামী ৩০ শে জুনের ইবতেদায়ি মাদরাসা এমপিওভুক্ত করণ না করা হলে পরবর্তীতে কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।-প্রেস বিজ্ঞপ্তি
Peoples News
© 2020 - kishorvabona.com প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত | Design kishorvabona